২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম :
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মৎস্যজীবী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা দৌলতপুরে ভাগ্নের উপরে সন্ত্রাসী হামলা দেখে ভয়ে প্রাণ গেল মামার – ভাগ্নে চিকিৎসাধীন লৌহজংয়ে নির্বাচনী মহড়া দিতে গিয়ে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় ১ জনের মৃত্যু ধামরাইয়ে সাংবাদিকের গাড়ি গতিরোধ করে হত্যার হুমকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের শেষ ভরসাস্থলঃ আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান দৌলতপুরে প্রার্থীর হলফনামায় অসত্য তথ্য দেওয়ার অভিযোগ পারিবারিক অধিকারসহ গণধর্ষণের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন কালবেলায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ লৌহজংয়ে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষ ব্লক প্রদর্শনীর ধান কর্তণের শুভ উদ্বোধন ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া সম্মাননা পদক পেলেন লায়ন গনি মিয়া বাবুল
  • প্রচ্ছদ
  • মামলা
  • সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা
  • সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা

    অনলাইন ডেস্ক
    সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা
    print news

    স্টাফ রিপোর্টার: পুলিশ সদর দপ্তর থেকে গোয়েন্দা কার্যালয়, র‌্যাব থেকে পিবিআই—সাংবাদিক পরিচয়ে এসব কার্যালয়ে তার অবাধ বিচরণ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বড় কর্মকর্তাদের সঙ্গে রয়েছে ছবি, যা ফেসবুকে প্রচার করে নিজেকে জাহির করেন ক্ষমতাবানদের কাছের মানুষ হিসেবে। এসব ছবি ব্যবহার করেই ফাঁদ পাতেন প্রতারণার। সবাইকে বলে বেড়ান, পুলিশের বড় কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক টেবিলে বসে চা পান করি। যে কাউকে দিতে পারেন চাকরি বা বিভিন্ন সংস্থার প্রকল্প থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে বাগিয়ে এনে দিতে পারেন কাজ। এভাবেই প্রতারণার মাধ্যমে দুই বছরেই হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া এ প্রতারকের নাম নাজমুল হোসেন ইমন। তিনি নিজেকে পরিচয় দেন ‘মুক্তির লড়াই’ নামে একটি অনলাইনের রিপোর্টার হিসেবে।

    গত কয়েক বছরে ভুঁইফোড় কিছু অনলাইনের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেন ইমন। আর এর আড়ালে চালিয়ে যান প্রতারণা। ইমনের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন বহু মানুষ। তাদের মধ্যে একজন ভুক্তভোগী মোছা. নুরবানু। চাকরি দেওয়া এবং প্রকল্পের কাজ এনে দেওয়ার কথা বলে ওই নারী এবং স্বজনদের কাছ থেকে ইমন হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকার ওপরে।

    নুরবানু জানান, নাছিরা নামে এক নারীর মাধ্যমে ইমনের সঙ্গে তার পরিচয়। ওই নারী ইমনকে সঙ্গে নিয়ে ২০২১ সালে একটি ভুয়া সংগঠন তৈরি করেন। সেই সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেন তার ছেলে এবং মেয়েকে। এমনকি সম্মাননা হিসেবে তার ছেলেমেয়েদের ক্রেস্টও দেন। মূলত এ সংগঠন ছিল প্রতারণার কৌশল। এর মাধ্যমেই লোকদের বিভিন্ন ফাঁদে ফেলতেন ইমন।

    নুরবানু বলেন, নিজেকে একজন উচ্চমানের কর্মকর্তা এবং সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া ইমন আমাকে বলেন, তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ এনে দেবেন। এরপর তার কথা বিশ্বাস করে ২০২২ সালে আমিসহ আমার বিভিন্ন আত্মীয়র কাছ থেকে ১ কোটি ৬ লাখ টাকা এনে দিই তাকে।

    তিনি বলেন, টাকা দেওয়ার পর অনেকদিন চলে গেলেও তিনি কাজ দেওয়ার বিষয়ে কিছু না জানালে তাকে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞেস করা হয়। এরপর বিভিন্ন সময় তাকে তাগিদ দিলেও তিনি এ বিষয়ে কিছুই করেননি। পরে জানতে পারি তিনি বড় প্রতারক। এরপর বিভিন্ন সময় তার কাছে টাকা চাইলেও তিনি বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দেন।

    ইমনের প্রতারণার শিকার মো. ফয়সাল বলেন, আমার কাছ থেকে তিনি চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৩ লাখ টাকা নেন। ইমন নিজেকে বড় সাংবাদিক এবং বড় কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। তবে চাকরি না দিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। এরপর টাকা চাইলে তিনি দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন। এরপর তার নামে ভাটারা থানায় অভিযোগ করলে বৃহস্পতিবার পুলিশ তাকে আটক করে। তবে প্রভাবশালীদের সুপারিশে তিনি দফারফার চেষ্টা করেন।

    ইমনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের বাড্ডা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার রাজন কুমার সাহা বলেন, অভিযোগ কিংবা আটকের বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিচ্ছি। ইমন সম্পর্কে জানতে ‘মুক্তির লড়াই’ পত্রিকার অফিসিয়াল মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ করা হয়নি।

    আরও পড়ুন